শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সাবেক মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের অবৈধভাবে দেশত্যাগের ঘটনা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালানোর সময় কেউ কেউ ধরা পড়েছেন এবং কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
সম্প্রতি ভারতের কলকাতার ইকো পার্কে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার উপস্থিতি দেখা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরায় তাদের দেখা যায়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মো. শাহ আলম গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশন পুলিশে তাদের দেশত্যাগের কোনো তথ্য নেই, যা নিশ্চিত করে যে তারা অবৈধ পথে সীমান্ত পার হয়েছেন।
শাহ আলম আরও বলেন, সাবেক মন্ত্রীরা হয়তো হেঁটে, গাড়িতে বা স্থলপথে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়েছেন। এ বিষয়ে র্যাবের পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য নেই বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল এবং হাজী সেলিমের এক ছেলে রয়েছেন। তবে, র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানিয়েছেন, র্যাবের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই এবং তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছে।
আসাদুজ্জামান কামাল পালালেন কী করে, জানে না পুলিশ
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) মো. শাহ আলম বলেন, আমি গণমাধ্যমে খবর দেখেছি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে। তারা কীভাবে গেছেন সে তথ্য ইমিগ্রেশন পুলিশে নেই।
শাহ আলম বলেন, এতোটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যাদের দেখা গেছে তারা কেউ ইমিগ্রেশন ক্রস করেননি। ইমিগ্রেশনে তাদের দেশত্যাগের কোনো তথ্য নেই।
তাহলে কীভাবে গেলেন? জানতে চাইলে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান শাহ আলম বলেন, ইমিগ্রেশনে যেহেতু তথ্য নেই, অবশ্যই অবৈধ পথে গেছেন। হেঁটে যেতে পারেন, গাড়িতেও যেতে পারেন, স্থলপথেও অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে পারেন।
একই প্রশ্ন করা হলে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, তাদের কাছেও এ ধরনের কোনো তথ্য নেই।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ক্যামেরায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে কলকাতার ইকো পার্কে দেখা গেছে। আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও সেখানে সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজী সেলিমের এক ছেলে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাইলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, আমাদের কাছে এ রকম কোনো তথ্য নেই। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈধভাবে গেছে নাকি অবৈধভাবে গেছে সে সম্পর্কে র্যাবের কাছে কোনো তথ্য নেই। এখানে র্যাবের কোনো ধরনের উদাসীনতা বা গাফিলতির বিষয় নেই। আমাদের যে দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সে অনুযায়ী সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি।