ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সতর্ক করে বলেছেন যে, গাজা এবং লেবাননে ইসরাইলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের প্রভাব শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং এটি সেখান থেকে আরও দূরবর্তী অঞ্চলেও নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিরতা ছড়িয়ে দিতে পারে। ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরাইল-হামাস সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে, যা গাজা থেকে লেবানন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরাইল বর্তমানে লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে পুরোপুরি সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এক জেনারেল লেবাননে ইসরাইলি হামলায় নিহত হওয়ার পর, গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরাইলের ভূখণ্ডে দুই শতাধিক রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর পালটা জবাবে গত ২৬ অক্টোবর ইসরাইল ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালায়, এতে চারজন ইরানি সামরিক সদস্য নিহত এবং রাডার ব্যবস্থায় আংশিক ক্ষতি হয়।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতি ইরানের প্রতিক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ইসরাইল যদি যুদ্ধবিরতি মেনে নেয় এবং নিরপরাধ মানুষের ওপর হামলা বন্ধ করে, তাহলে ইরানের প্রতিক্রিয়ার মাত্রা পরিবর্তিত হতে পারে। একইভাবে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উপদেষ্টা আলী লারিজানি বলেছেন, ইসরাইল ইরানকে সংঘাতের মধ্যে টেনে আনার চেষ্টা করছে এবং এই ফাঁদে না পড়ার জন্য ইরানকে সজাগ থাকতে হবে।
এই পরিস্থিতি স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, ইসরাইল-ইরান উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে এবং এর প্রভাব আরও বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।